ইস্তেগফার কি? ইস্তেগফার এর ফজিলত এবং 5 টি ইস্তেগফারের দোয়া

ইস্তেগফার কি? ইস্তেগফার কিভাবে করবেন? ইস্তেগফার এর ফজিলত
ইস্তেগফার কি? ইস্তেগফার কিভাবে করবেন? ইস্তেগফার এর ফজিলত

ইস্তেগফার হল আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এটি একটি আরবি শব্দ যার অর্থ “আমি ক্ষমা চাই”। ইস্তেগফার হল ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত তার জীবনে নিয়মিত ইস্তেগফার করা, কারণ মানুষ প্রত্যেকেই ভুল করে থাকে।

ইস্তেগফারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি পাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে, আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে সাহায্য করে, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে, এবং রহমত ও বরকত লাভ করতে সাহায্য করে।

ইস্তেগফার কি? | Istighfar in bangla

ইস্তেগফার হল আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এটি একটি আরবি শব্দ যার অর্থ “আমি ক্ষমা চাই”। ইস্তেগফার হল ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত তার জীবনে নিয়মিত ইস্তেগফার করা, কারণ মানুষ প্রত্যেকেই ভুল করে থাকে।

ইস্তেগফার কিভাবে করবেন?

ইস্তেগফার করার অনেক উপায় রয়েছে। নিচে কিছু সাধারণ উপায় দেওয়া হল:

  • “আস্তাগফিরুল্লাহ” বলা। এটি হল ইস্তেগফারের সবচেয়ে সহজ ও প্রচলিত উপায়।
  • “আস্তাগফিরুল্লাহ আল-হাইয়্যুল কইয়্যূম” বলা। এটি হল সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার, অর্থাৎ সবচেয়ে উত্তম ইস্তেগফার।
  • আল্লাহর কাছে নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে সেই ভুলগুলি না করার দৃঢ় সংকল্প করা।

ইস্তেগফার করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল স искренity। স искренity ছাড়া ইস্তেগফার গ্রহণযোগ্য হয় না।

ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত

ইস্তেগফার হল আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। এটি ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। প্রত্যেক মুসলিমের উচিত তার জীবনে নিয়মিত ইস্তেগফার করা, কারণ মানুষ প্রত্যেকেই ভুল করে থাকে।

ইস্তেগফারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিচে কিছু উপকারিতা দেওয়া হল:

  • পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া: ইস্তেগফার করলে আল্লাহ আমাদের পাপ ক্ষমা করেন।
  • আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা: ইস্তেগফার করলে আল্লাহ আমাদের কাছে সন্তুষ্ট হন এবং আমাদের নৈকট্য দান করেন।
  • দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দূর করা: ইস্তেগফার করলে আমাদের মনের শান্তি আসে এবং দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দূর হয়।
  • রহমত ও বরকত লাভ করা: ইস্তেগফার করলে আল্লাহ আমাদের রহমত ও বরকত দান করেন।
  • সওয়াব অর্জন করা: ইস্তেগফার করলে আমরা সওয়াব অর্জন করি।

ইস্তেগফার করার উপায়

ইস্তেগফার করার অনেক উপায় রয়েছে। নিচে কিছু সাধারণ উপায় দেওয়া হল:

  • “আস্তাগফিরুল্লাহ” বলা। এটি হল ইস্তেগফারের সবচেয়ে সহজ ও প্রচলিত উপায়।
  • “আস্তাগফিরুল্লাহ আল-হাইয়্যুল কইয়্যূম” বলা। এটি হল সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার, অর্থাৎ সবচেয়ে উত্তম ইস্তেগফার।
  • আল্লাহর কাছে নিজের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে সেই ভুলগুলি না করার দৃঢ় সংকল্প করা।

ইস্তেগফার করার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল স искренity। স искренity ছাড়া ইস্তেগফার গ্রহণযোগ্য হয় না।

ইস্তেগফার করার সুন্নাহ

  • প্রতিদিন সকাল-বিকাল সাতবার সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার পড়া।
  • কোনো পাপ করার পরে অবিলম্বে ইস্তেগফার করা।
  • সিজদায় ইস্তেগফার করা।
  • সালাতের পরে ইস্তেগফার করা।
  • দুআর আগে-পরে ইস্তেগফার করা।
  • কুরআন তেলাওয়াত করার পরে ইস্তেগফার করা।
  • জিনিয়া ও আযানের পরে ইস্তেগফার করা।

৫টি ইস্তেগফারের দোয়া | Istighfar Dua

ইস্তেগফার করার বা ক্ষমা চাওয়ার দোয়া সমূহ।

সব চেয়ে ছোট ইস্তেগফার হলো

দোয়া-১: আস্তাগফিরুল্লা-হ।

أَستَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হ।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

প্রতি ওয়াক্তের ফরয সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। [মিশকাত-৯৬১]

এছাড়াও সারাক্ষণ টয়লেট বাথরুম ছাড়া এই ইস্তেগফার টি পড়ে জিহবা ভিজিয়ে রাখুন এর ফজিলত অনেক বেশি।

দোয়া-২:আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি

মূল আরবীঃ أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণঃ আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতূবু ইলাইহি।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবা ও ইসতিগফার করতেন। [বুখারী-৬৩০৭]

দোয়া-৩: আস্‌তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি

মূল আরবীঃ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণঃ আস্‌তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলায়হি।

অনুবাদঃ আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবাহ্ করি।

এই দোয়া পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন-যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়নকারী হয়। [আবু দাউদ-১৫১৭, তিরমিযী-৩৫৭৭, মিশকাত-২৩৫৩]

দোয়া-৪:রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম

মূল আরবীঃ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ / الغَفُوْرُ

উচ্চারণঃ রাব্বিগ্ ফিরলী, ওয়া তুব ‘আলাইয়্যা, ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম। দ্বিতীয় বর্ণনয় “রাহীম”-এর বদলে: ‘গাফূর’।

অনুবাদঃ হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়। দ্বিতীয় বর্ণনায়: তাওবা কবুলকারী ও ক্ষমাকারী।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।

[আবূ দাঊদ-১৫১৬, ইবনু মাজাহ-৩৮১৪, তিরমিযী-৩৪৩৪, মিশকাত-২৩৫২]

দোয়া-৫: সাইয়েদুল ইস্তিগফার

সায়্যিদুল ইস্তেগফার সব চেয়ে শ্রেষ্ট ইস্তেগফার। সাইয়েদুল ইস্তিগফার-বা আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দুআএবং এটি সকাল সন্ধ্যার জিকির।

আরও পড়ুন  সাইয়িদুল ইস্তিগফার এর ফজিলত | Sayyidul Istighfar Bangla

সাইয়েদুল ইস্তিগফার আরবীঃ

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ’উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা

অনুবাদঃ হে আল্লাহ তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।

এই দোয়া সকালে পড়ে রাতের আগে মারা গেলে অথবা রাতে পড়ে সকালের আগে মারা গেলে সে জান্নাতে যাবে। [বুখারী-৬৩০৬]

এই দোয়া গুলো পড়ার মাধ্যমে ইস্তেগফার করুন। তবে সব চেয়ে উত্তম হলো সায়্যিদুল ইস্তেগফার।

উপসংহার

ইস্তেগফার একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আমাদের পাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে, আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে সাহায্য করে, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে, এবং রহমত ও বরকত লাভ করতে সাহায্য করে। আমাদের উচিত প্রতিদিন নিয়মিত ইস্তেগফার করা।

জাজাকাল্লাহ খায়ের