বনলতা সেন কবিতার প্রশ্ন উত্তর

বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশের লেখা একটি বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতায় কবি একজন অদ্ভুত নারী চরিত্রের অবতারণা করেছেন, যার নাম বনলতা সেন। এই কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই নিবন্ধে আমরা বনলতা সেন কবিতার প্রশ্ন উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কবিতা

বনলতা সেন – জীবনানন্দ দাশ

আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।

চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ‘পর
হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা,
সে-ই চিনতে পারে তারে নিখিল-অন্ধকারের ‘পর।

সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।

সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতো
সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;
পৃথিবীর সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন
তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;
সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী—ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন;
থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।

ব্যাখ্যা

বনলতা সেন জীবনানন্দ দাশের লেখা একটি বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতায় কবি একজন অচেনা নারীর প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। কবি এই নারীকে “বনলতা সেন” বলে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু তার পরিচয় সম্পর্কে কিছুই বলেননি।

কবিতাটিতে কবি প্রথমে বলেছেন যে তিনি একজন ক্লান্ত প্রাণ। তাকে ঘিরে রয়েছে জীবনের সমুদ্র, যা তাকে ক্লান্ত করে তুলেছে। কিন্তু বনলতা সেনের গান তাকে কিছুক্ষণের জন্য শান্তি দিয়েছে।

কবির কাছে বনলতা সেনের গান ছিলো একটি আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা। এই গানে ছিলো বনলতা সেনের দীর্ঘ কেশ, দূরের সবুজ গ্রামের সুবাস, দারুচিনি দ্বীপের ঝড়, এবং অন্ধকারে পাখির নীড়ের মতো চোখ। এই গানে কবি তার সমস্ত শান্তি, স্বপ্ন, এবং জীবন খুঁজে পেয়েছেন।

কিন্তু এই গান শেষ হয়ে গেলে, বনলতা সেনও চলে গেলেন। কবি আবার সেই ব্যস্ত জীবনে ফিরে এলেন, কিন্তু তিনি বনলতা সেনকে ভুলতে পারেননি।

বনলতা সেন একটি রোমান্টিক কবিতা। এই কবিতায় কবি একজন নারীর প্রতি তার ভালোবাসার কথা বলেছেন। কিন্তু এই ভালোবাসা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির প্রতি নয়, এটি একটি আদর্শের প্রতিও। বনলতা সেন কবির কাছে একটি আদর্শ নারী, যার মধ্যে রয়েছে সৌন্দর্য, শান্তি, এবং মুক্তি। কবি এই আদর্শ নারীর সাথে মিলিত হয়ে তার জীবনের ক্লান্তি এবং অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে চান।

বনলতা সেন বাংলা সাহিত্যের একটি অমর কবিতা। এই কবিতাটি শুধুমাত্র কবির ভালোবাসার কথাই বলে না, এটি একটি আদর্শের প্রতি মানুষের ভালোবাসার কথাও বলে।

একনজরে বনলতা সেন কবিতার প্রশ্ন উত্তর অতিসংক্ষিপ্ত

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ কবে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তরঃ বরিশালে ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি।

প্রশ্নঃ রূপসী বাংলার কবি কে?

উত্তর জীবনানন্দ দাশ। |

প্রশ্নঃ বাংলা সাহিত্যে তিমির হননের কবি নামে পরিচিত কোন কবি?

উত্তরঃ কবি জীবনানন্দ দাশ।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশের কয়েকটি কাব্যের নাম উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ঝরাপালক [১৯২৭), ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩১), বনলতা সেন (১৯৪২), মহাপৃথিবী (১৯৪৪), সাতটি তারার তিমির [১৯৪৮] প্রভৃতি।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশের একটি উপন্যাসের নাম লেখ।

উত্তরঃ ‘মাল্যবান’। জীবনানন্দ দাশের একটি প্রবন্ধ গ্রন্থের নাম লেখ। উত্তরা কবিতার কথা’ ।।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ অধ্যাপনা ছাড়া এক সময় কোন পেশাও গ্রহণ করেছিলেন?

উত্তরঃ সাংবাদিকতা।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ কোথা থেকে ইংরেজিতে এম.এ. পাস করেন?

উত্তরঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ কত সালে এম.এ. পাস করেন?

উত্তরা ১৯২১ সালে ।

প্রশ্নঃ কবির পিতার নাম কী?

উত্তরাঃ  সত্যানন্দ দাশ ।

প্রশ্নঃ কবির মাতার নাম কী?

উত্তরঃ কবি কুসুমকুমারী দাশ।

প্রশ্নঃ কুসুম কুমারী রচিত দুটি বিখ্যাত চরণ হলাে

উত্তরঃ “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।”

প্রশ্নঃ জীবনানন্দের ভাই ও বােনের নাম কী?

উত্তরঃ অশোকানন্দ দাশ ও সুচরিতা দাশ।

প্রশ্নঃ কোন বিষয়ে কবি বি.এ. অনার্স পাস করেন?

উত্তরাঃ ইংরেজিতে।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দের পত্নীর নাম কী?

উত্তরাঃ লাবণ্য গুপ্ত।

প্রশ্নঃ কবি কর্মজীবন শুরু করেন কখন?
উত্তরঃ ১৯২২ সালে কলকাতার সিটি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশের প্রথম কবিতা কোনটি?

উত্তরঃ বর্ষা আবাহন’।

প্রশ্নঃ বর্ষা আবাহন কোন পত্রিকায় প্রকাশ হয়?

উত্তরাঃ ১৯১৯ সালে । ব্রহ্মবাদী পত্রিকায়।
সকলেই কন্থি নয়- কেউ কেউ কবি; কবি কেননা তাদের হৃদয়ে কল্পনার এবং কল্পনার ভিতর চিভা ও অভিজ্ঞতার স্বতন্ত্র।

প্রশ্নঃ সারবত্তা আছে।”- উক্তিটি কার?

উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশের

প্রশ্নঃ (কবিতার কথা) কবি নিজের সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছেন?

উত্তরঃ ‘আমি কবি, সেই কবি,আকাশের কাতর আঁখি তুলি হেরি ঝরা পালকের ছবি। আনমনা আমি চেয়ে থাকি দূর হিক্স মেঘের পানে। পড়ে আছে হেথা ছিন্ন নীবার, পাখির নষ্ট নীড়।। হেথায় বেদনা মা-হারা শিশুর, শুধু বিধবার ভিড়। (আমি কবি, সেই কবির ঝরা পালক)।

প্রশ্নঃ জীনানন্দ দাশের কবিতা কোন কোন পত্রিকায় প্রকাশ হতাে?

উত্তরঃ কল্লোল, কালি-কলম, প্রভৃতি পত্রিকায়।

প্রশ্নঃ কল্লোল পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত কবিতা?
উত্তরাঃ নীলিমা।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তরযঃ ঝরাপালক (১৯২৭)।

প্রশ্নঃ উপমা সম্পর্কে জীবনানন্দ দাশ কী বলেছিলেন?

উত্তরঃ জীবনানন্দ একদা বলেছিলেন “উপমাই কবিত্ব।” ।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ কোন সময়ের কবি?

উত্তরঃ তিরিশােত্তর আধুনিক কবি।

প্রশ্নঃ ‘আধুনিক বাংলা কবিতা কে সম্পাদনা করেন?
উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশ নিজেই।

প্রশ্নঃ কোন কবিতার জন্য জীবনানন্দ সাহিত্য পুরস্কার পায়?
উত্তর৷ ‘বনলতা সেন’ কাব্যের জন্য।

প্রশ্নঃ ইতিহাস চেতনা সম্পর্কে কবির ধারণা কী?
উত্তরঃ “কবির পক্ষে সমাজকে বােঝা দরকার, কবিতার অস্থির ভিতরে থাকবে ইতিহাস চেতনা ও মর্মে থাকবে পরিচ্ছন্ন কালজ্ঞান।” -(কবিতার কথা)।

প্রশ্নঃ কে বলেছিলেন ‘জীবনানন্দ দাশ এক বিমুঢ় যুগের বিভ্রান্ত কৰি।
উত্তরাঃ দীপ্তি ত্রিপাঠী।।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশের কাব্যে কোন কোন ঋতুর প্রাধান্য আছে?
উত্তরঃ হেমন্ত ও শীত ঋতু।

প্রশ্নঃ কবি কিভাবে মারা যান?
উত্তরাঃ ট্রাম দূর্ঘটনায় ।।

প্রশ্নঃ কবি জীবনানন্দ দাশ কবিতায় কীসের জগৎ তৈরি করেন?
উত্তরাঃ সূক্ষ্ম ও গভীর অনুভবের এক জগৎ তৈরি করেন।

প্রশ্নঃ কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর কবিতায় কীসের ছবি এঁকেছেন?
উত্তরাঃ গ্রামবাংলার বিশেষ করে রূপসী বাংলার নিসর্গের ছবি তিনি এঁকেছেন।

প্রশ্নঃ কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী নাম দিয়েছেন?
উত্তরঃ অসাধারণ কাব্যবৈশিষ্ট্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘চিত্ররূপময়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রশ্নঃ কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর কবিতায় কীভাবে কবিভাষা তৈরি করেন?
উত্তরাঃ ব্যক্তিমানুষের নিঃসঙ্গতা, আধুনিক জীবনের বিচিত্র যন্ত্রণা ও হাহাকার এবং সর্বোপরি জীবন ও জগতের রহস্য ও মাহাত্ম সন্ধানে তিনি এক অপ্রতিম কবিভাষা সৃষ্টি করেছেন।

প্রশ্নঃ কবি জীবনানন্দ দাশকে কে নির্জনতম কবি নাম দিয়েছেন?
উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসু তাকে নির্জনতম কবি’ নাম দিয়েছেন।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ এবং তাঁর সাহিত্যসম্ভার নিয়ে কোন বিদেশি গবেষণাকর্ম সম্পাদন করেছেন?

উত্তরঃ ক্লিনটন বি সিলি।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ এবং তার সাহিত্যসম্ভার নিয়ে ক্লিনটন বি সিলি কোন গবেষণাকর্মটি সম্পাদনা করেছেন?
উত্তরাঃ অনন্য জীবনানন্দ।

প্রশ্নঃ একটি নক্ষত্র আসে জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে রচিত গ্রন্থের লেখক কে?
উত্তরাঃ অম্বুজ বসু।

প্রশ্নঃ  বনলতা সেন’ কবিতার রচয়িতা কে?

উত্তরঃ জীবনানন্দ দাশ।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ রচিত সবচেয়ে আলােচিত কবিতার নাম কী?
উত্তরঃ ‘বনলতা সেন’ কবিতা।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশ রচিত সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতার নাম কী?
উত্তরঃ বনলতা সেন’ কবিতা।

প্রশ্নঃ জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন’ কবিতাটি কোন কোন ভাষায় অনূদিত হয়েছে?
উত্তরাঃ ইংরেজি, ফরাসি, গুজরাটি, হিন্দিসহ নানান ভাষায়।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের কোন কাব্য থেকে গৃহীত হয়েছে?
উত্তরাঃ ‘বনলতা সেন’ কাব্য থেকে। আঙ্গিক বিচারে বনলতা সেন’ কোন ধরনের কবিতা?
উত্তরা গীতিকবিতা।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় প্রধান বিষয় কী?
উত্তরঃ প্রেম-প্রকৃতি এবং ইতিহাস।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতাটির সাথে কোন কবিতার মিল আছে?
উত্তরাঃ Edger Allan Poe এর ‘To Helen’ কবি ।। |

প্রশ্নঃবনলতা সেন কবিতার স্তব সংখ্যা কত?
উত্তরাঃ স্তবক সংখ্যা

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতার চরণ সংখ্যা কত?

উত্তরঃ চরণ সংখ্যা ১৮।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন কবিতায় বনলতা’ আসজে উসের প্রতীক?

উত্তরঃ একদিকে প্রকৃতি -অন্যদিকে প্রেমময় নারীর চিরন্তন প্রতীক।

প্রশ্নঃ‘বনলতা সেন কবিতায় বনলতা কবির জীবনের কীসের প্রতীক হিসেবে এসেছে?

উত্তরঃ শান্তির প্রতীক হিসেবে।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
উত্তরঃ অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।

প্রশ্নঃ‘বনলতা সেন’ কবিতার প্রথম চরণ কী?
উত্তরাঃ “হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে ।”

প্রশ্নঃ ‘বনলতা সেন’ কবিতার শেষ চরণ কী?
উত্তরাঃ থাকে শুধু অন্ধকার, মুখােমুখি বসিবার বনলতা সেন।”

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় কবি কতদিন ধরে পথ হাঁটছেন?
উত্তরঃ হাজার বছর ধরে।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় কবি হাজার বছর ধরে কোথায় পথ হাঁটছেন?
উত্তরঃ পৃথিবীর পথে।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় হাজার বছর ধরে পথ হাঁটা’কে কবি কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন?
উত্তরঃ ব্যক্তির জীবনের পরিভ্রমণ।

প্রশ্নঃ “সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতাে সন্ধ্যা আসে”- কবি কোন অর্থে ব্যবহার করেছেন? |

উত্তরঃ নীরবে-নিভৃতে জীবনের শেষ মুহূর্ত আগমনের বিষয়কে ইঙ্গিত করেছেন।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় কবি পৃথিবীর কোন পথে পথ হাঁটছেন?
উত্তরঃ সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকার মালয় সাগরে।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় কবি কত দূরে ছিলেন?
উত্তরঃ অন্ধকার বিদর্ভ নগরে।।

প্রশ্নঃবনলতা সেন’ কবিতায় কবির অবস্থা কেমন বলে উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরাঃ ক্লান্ত প্রাণ এক।।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতার মতে কবি কোথায় ছিলেন?

উত্তরঃ বিম্বিসার অন্ধকার ধূসর জগতে।

প্রশ্নঃ  বনলতা সেন’ কবিতায় কবি ক্লান্ত কবির চারপাশে কী বিরাজ করে?
উত্তরঃ চারদিকে সমুদ্র সফেন ।।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় কবিকে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলাে কে?
উত্তরঃ নাটোরের বনলতা সেন।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় কবি বনলতার চুল কেমন বলে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তরঃ অন্ধকার বিদিশার নিশা।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় কবি বনলতার মুখ কেমন বলে মন্তব্য করেছেন?
উত্তরঃ শ্রাবস্তীর কারুকার্য ।। |

প্রশ্নঃ বনলতা সেন কবিতায় হাল ভেঙে দিশা হারিয়েছে কে?
উত্তরঃ নাবিক।।

প্রশ্নঃবনলতা সেন নাবিক কোথায় হাল ভেঙে দিশা হারায়?
উত্তরঃ অতি দূর সমুদ্রের গায় ।। |

প্রশ্নঃ বালতা সেন’ কবিতায় কোন দ্বীপের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ দারুচিনি দ্বীপ।

প্রশ্নঃ ‘বলতা সেন’ কবিতায় কবি দারুচিনি দ্বীপের ভিতর কেমন দেশ দেখেছেন?

উত্তরঃ সবুজ ঘাসের দেশ।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন এর চোখের ‘পাখির নীড়ের সাথে কেন তুলনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ কবি তার চোখে শান্ত-নীরবতা এবং প্রশান্তির আশ্রয় খুঁজে পাওয়ার জন্য এমন বলেছেন।

প্রশ্নঃ এতদিন কোথায় ছিলেন’ কথাটি কে কাকে বলেছে?
উত্তরঃ বনলতা সেন কবিকে।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় পাখির নীড়ের মতাে চোখ তুলে তাকায় কে?
উত্তরঃ নাটোরের বনলতা সেন।।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন কবিতায় সমস্ত দিনের শেষে সন্ধ্যা আসে কীভাবে?
উত্তরঃ শিশিরের শব্দের মতাে। |

প্রশ্নঃবনলতা সেন কবিতায় ডানার রৌদ্রের গন্ধ কে মুছে ফেলে?
উত্তরঃ চিল

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় পাণ্ডুলিপি কখন আয়ােজন করা হয়?
উত্তরঃ পৃথিবীর সব রঙ মুছে গেলে ।।

প্রশ্নঃবনলতা সেন’ কবিতায় কবি গল্পের তরে কী ঝিলমিল করে?
উত্তরঃ জোনাকিরা।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন কবিতায় সব পাখি ঘরে ফিরলে, সব নদী জীবনের লেনদেন শেষ করলে আর কী অবশিষ্ট থাকে?

উত্তরাঃ অন্ধকার এবং বনলতা সেনের মুখােমুখি বসবার।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন কবিতায় কবি কোন কোন পৌরাণিক স্থানের কথা বলেছেন?
উত্তরঃ সিংহল সমুদ্র, বিদর্ভ নগর, অশােকের ধূসর জগৎ।। |

প্রশ্নঃ বনলতা সেন’ কবিতায় কোন কোন সাগরের নাম পাওয়া যায়?
উত্তরঃ সিংহল সাগর এবং মালয় সাগর ।

প্রশ্নঃ সিংহল সমুদ্র কী?

উত্তরঃ ভারতের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ সমুদ্র। প্রাচীন লঙ্কা দ্বীপকে এক সময় সিংহল বলা হতাে। বর্তমানে এটি শ্রীলঙ্কা নামে পরিচিত।

প্রশ্নঃ বিম্বিসার কে?
উত্তরঃ প্রাচীন হর্ষভ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। ৫৪৫-৪৯৩ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে তিনি রাজত্ব করেছেন। তার রাজ্যের নাম ছিল মগধ। . বর্তমানে এ জায়গাটি রাজগীর নামে পরিচিত।

প্রশ্নঃ অশােক কে?
উত্তরঃ মৌর্য বংশের প্রতাপশালী রাজা। তিনি ছিলেন রাজা বিন্দুসার এর পুত্র।

প্রশ্নঃ বিদর্ভ কী?
উত্তরঃ ভারতের বর্তমান মধ্যপ্রদেশের অন্তর্গত বিদর রাজ্যের প্রাচীন নাম ।

প্রশ্নঃবিদিশা’ কী?
উত্তরঃ বৌদ্ধ যুগের প্রাচীন সমৃদ্ধ নগরী বিদিশা।

প্রশ্নঃশ্রাবন্তী’ কী?
উত্তরঃ প্রাচীন ভারতের একটি অপরূপ নগরী শ্রাবন্তী। দেউল ও ভাস্কর্যের কারুকাজের জন্য এ নগরী বিখ্যাত ছিল।

প্রশ্নঃ সমুদ্র সফেন’ কী?

উত্তরঃ ফেনাময় সমুদ্র ।

প্রশ্নঃ‘ডানার রৌদ্রের গন্ধ’ বলতে কী বুঝানাে হয়েছে?

উত্তরঃ ব্যস্ততা ভরা কর্মজীবনের অবসাদ বা ঘামের গন্ধ।

প্রশ্নঃ চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তরঃ কবি এখানে বৌদ্ধ যুগের প্রাচীন সমৃদ্ধ নগরী বিদিশার রাতের অন্ধকারের সঙ্গে বনলতা সেনের চুলের সৌন্দর্যের তুলনা করছেন।

প্রশ্নঃমুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ এখানে প্রাচীন ভারতের একটি অপরূপ নগরী শ্রাবস্তীর দেউল ও ভাঙ্কর্যের কারুকাজের সঙ্গে বনলতা সেনের মুখশ্রীর তুলনা করা হয়েছে ।

প্রশ্নঃ‘ধূসর অর্থ কী?
উত্তরঃ পাণ্ডুবর্ণ, ছাই রং।

প্রশ্নঃবনলতা সেন’ কবিতায় রঙদ্যোতক কোন শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তরঃ ‘ধূসর রং।।

প্রশ্নঃবনলতা সেন’ কবিতায় ব্যবহৃত সফেন’ শব্দটি কোন পদ?
উত্তরঃ বিশেষণ।

প্রশ্নঃদুদণ্ড’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তরঃ সামান্য মুহূর্ত।

প্রশ্নঃনাবিক’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তরঃ পােত চালক, নৌকা, জাহাজ ইত্যাদি চালনা করার কাজ যে করে।

প্রশ্নঃ নীড়’ অর্থ কী?
উত্তরঃ বাসা।।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন কবিতায় ব্যবহৃত কোন কোন শব্দুগুলাের ভিন্ন ভিন্ন দ্যোতনা আছে বাংলা ভাষায়?
উত্তরঃ ‘পাখি’, নীড়’, ‘চোখ’, ‘সাগর’।

প্রশ্নঃ‘কাতা সেল” কবিতার পরিব্রাজক কোন পথে পরিভ্রমণ করেছেন?

উত্তরঃ প্রাচীন ভারতের বণিকেরা যে পথ বেয়ে দ্বীপময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্য করতে যেতে সে পথ বেয়েই বনলতা সেন’ কবিতার পরিব্রাজব পৃথিবীর পথ পরিভ্রমণ করেছেন।

প্রশ্নঃ মলতা সেন কবিতায় সিংহল সমুদ্র’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তরঃ দক্ষিণ শ্রীলঙ্কা সাগরকে বােঝানাে হয়েছে।

প্রশ্নঃ “শিশিরের শব্দের মতন বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
উওরঃ নিঃশব্দ মসৃণ অনুভূতি।

প্রশ্নঃ“এতনি কোথায় ছিলেন?”- কে, কাকে বলেছে?
উত্তরঃ বনলতা সেন কবিকে।

প্রশ্নঃ কার চুল বিদিশার নিশার মতাে?

উত্তরঃ বনলতা সেনের।

প্রশ্নঃ বজাত সেন কবিতার হাল ভেঙ্গে দিশা হারিয়েছে কে?
উত্তরঃ নাবিক দিশা হারিয়েছে।।

প্রশ্নঃ বনলতা সেন কবিতায় পাণ্ডুলিপি কখন আয়ােজন করা হয়?
উত্তরঃ পৃথিবীর সব রঙ মুছে গেলে।

প্রশ্নঃবলতাে কবিতায় ব্যবহৃত বিখ্যাভ উগম কোনটি?
উত্তরঃ“পাখির নীড়ের মতাে চোখ।”