আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সূরা আল-বাকারার ২৫৫তম আয়াত। আয়াতুল কুরসীর ফজিলত অনেক। এটি কোরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আয়াত। এতে সমগ্র মহাবিশ্বের ওপর আল্লাহর জোরালো ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে।
আয়াতুল কুরসী: পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত
আয়াতুল কুরসি হলো পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা আল্লাহর একত্ব, ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের বর্ণনা দেয়। আয়াতুল কুরসির অনেক ফজিলত রয়েছে।
আয়াতুল কুরসী হলো পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় সূরা আল-বাকারার ২৫৫তম আয়াত। এই আয়াতটি তার মর্যাদা ও গুণের জন্য বিখ্যাত। আয়াতটিতে আল্লাহর একত্ববাদ, মর্যাদা ও গুণের বর্ণনা করা হয়েছে। আয়াতটিতে আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, জ্ঞান ও কর্তৃত্বের কথা বলা হয়েছে।
আয়াতুল কুরসী একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আয়াত। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে নিম্নলিখিত ফজিলতসমূহ লাভ করা যায়:
- আল্লাহর পক্ষ থেকে হেফাজত লাভ করা যায়।
- শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
- জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
- দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করা যায়।
Table of Contents
আয়াতুল কুরসী
আয়াতুল কুরসি হলো পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত যা আল্লাহর একত্ব, ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের বর্ণনা দেয়। আয়াতটিতে আল্লাহর অসীম ক্ষমতা, জ্ঞান ও কর্তৃত্বের কথা বলা হয়েছে।
হাদিস থেকে জানা যায়, যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো বাধা হবে না। যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, সে সারা রাত শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা একটি ফেরেশতা নিয়োগ করবেন যিনি তাকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।
আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুজুহু সিনাতুন ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাজি ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বিইযনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শাআ’। ওয়াসিআ কুরসিইয়ুহুস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যুল আজিম।
আয়াতুল কুরসির অনুবাদ
আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বদা শক্তিমান। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। আসমানসমূহ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তাঁর। তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে কে সুপারিশ করতে পারে? তিনি মানুষের সামনে ও পিছনে যা আছে, সবই জানেন। তাঁর জ্ঞান থেকে তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তারা তাঁর কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টন করে আছে। আর তাদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান, সর্বোচ্চ।
আয়াতুল কুরসির আমল
- প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পাঠ করা।
- ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করা।
- ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা।
- যেকোনো বিপদে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা।
Also Read : Ayatul Kursi Bangla
আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সহীহ হাদিস
আয়াতুল কুরসীর ফজিলত সম্পর্কে হাদিস:
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পড়বে, তার মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে বাধা দিতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)
আয়াতুল কুরসী একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আয়াত। তাই আমরা সকলেই নিয়মিত আয়াতুল কুরসী পাঠ করার চেষ্টা করব।
হাদিস থেকে আয়াতুল কুরসির ফজিলত
- হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো বাধা হবে না।”
- হজরত আবু জর জুনদুব ইবনে জানাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতে ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পড়বে, সে সারা রাত শয়তানের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে।”
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য আল্লাহ তাআলা একটি ফেরেশতা নিয়োগ করবেন যিনি তাকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।”
আয়াতুল কুরসির ফজিলত
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হেফাজত লাভ হয়।
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে দোয়া কবুল হয়।
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়।
- আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
আয়াতুল কুরসী পাঠ করার নিয়ম:
- আয়াতুল কুরসী পড়ার সময় উচ্চারণ সঠিক হওয়া জরুরি।
- আয়াতটি মনোযোগ সহকারে পড়া উচিত।
- আয়াতটি নিয়মিত পাঠ করা উচিত।