ক্লাউড কম্পিউটিং কী: সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা

ক্লাউড কম্পিউটিং কী
ক্লাউড কম্পিউটিং কী

ক্লাউড কম্পিউটিং হলো তথ্য ও কম্পিউটিং প্রযুক্তির এক অভাবনীয় দিক, যেখানে ডেটা এবং কম্পিউটিং সেবাগুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে অনুপ্রবেশ করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজে উপলব্ধ সম্পূর্ণ একটি ভার্চুয়াল কম্পিউটিং পরিবেশ সৃষ্টি করে, যা ডেটা সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়া করার জন্য সহজ এবং কমপ্লেক্স কম্পিউটিং সেবা প্রদান করে।

ক্লাউড কম্পিউটিং কী

ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing)  হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার রিসোর্স (যেমন সার্ভার, স্টোরেজ, ডাটাবেস, নেটওয়ার্কিং, সফটওয়্যার) ব্যবহার করার একটি ব্যবস্থা। এটি ‘অন-ডিমান্ড’ পরিষেবা প্রদান করে, যার অর্থ আপনি যখন প্রয়োজন তখনই কেবল রিসোর্স ব্যবহার করে টাকা দিতে হবে।

ক্লাউড কম্পিউটিং কত প্রকার

ক্লাউড কম্পিউটিংকে মূলত তিন প্রকার ভাগে ভাগ করা যায়:

১) পরিষেবার ধরণ অনুযায়ী:

  • ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (IaaS): এটি ক্লাউড প্রোভাইডারের কাছ থেকে ভার্চুয়াল মেশিন, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং এবং অন্যান্য কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া নেওয়ার অনুমতি দেয়।
  • প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (PaaS): এটি ক্লাউড প্রোভাইডারের কাছ থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং ডেপ্লয়মেন্টের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম ভাড়া নেওয়ার অনুমতি দেয়।
  • সফটওয়্যার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস (SaaS): এটি ক্লাউড প্রোভাইডারের কাছ থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।

২) ক্লাউড মালিকানাধীনত্ব অনুযায়ী:

  • পাবলিক ক্লাউড: ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকলের জন্য উন্মুক্ত। এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের এবং স্কেল করা সহজ।
  • প্রাইভেট ক্লাউড: একটি নির্দিষ্ট সংস্থার জন্য নিবেদিত। এটি উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে।
  • হাইব্রিড ক্লাউড: পাবলিক এবং প্রাইভেট ক্লাউডের সংমিশ্রণ। এটি উভয় পদ্ধতির সুবিধা প্রদান করে।

৩) ডেপ্লয়মেন্ট মডেল অনুযায়ী:

  • কমিউনিটি ক্লাউড: এটি একাধিক সংস্থার দ্বারা যৌথভাবে মালিকানাধীন এবং পরিচালিত।
  • অন-প্রিমাইস ক্লাউড: এটি একটি সংস্থার নিজস্ব ডেটা সেন্টারে স্থাপন করা হয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহারের জন্য কোন ধরণটি সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেট এর উপর।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা:

  • সর্বত্র অ্যাক্সেস: ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই ব্যবহারকারীরা যেকোনো স্থান থেকে তাদের ডেটা এবং অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
  • স্কেলেবিলিটি: ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী ক্লাউড রিসোর্স সহজেই বাড়ানো বা কমানো যায়।
  • খরচ কমানো: ব্যবহারকারীদের নিজস্ব হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কেনার প্রয়োজন হয় না, যা খরচ কমাতে সাহায্য করে।
  • উন্নত নিরাপত্তা: ক্লাউড প্রদানকারীরা উচ্চ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করে যা ডেটা এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে রক্ষা করে।
  • দ্রুত ডেপ্লয়মেন্ট: ক্লাউড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলি দ্রুত এবং সহজে ডেপ্লয় করা যায়।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ব্যবহার:

  • ডেটা স্টোরেজ: ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট এবং অন্যান্য ফাইল স্টোর করার জন্য।
  • ব্যাকআপ এবং ডিজাস্টার রিকভারি: আপনার ডেটার ব্যাকআপ নিতে এবং দুর্যোগের ক্ষেত্রে পুনরুদ্ধার করতে।
  • অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট: অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং পরীক্ষা করার জন্য।
  • ওয়েব হোস্টিং: ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য।
  • মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট: মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং পরীক্ষা করার জন্য।
  • ডেটা বিশ্লেষণ: বড় ডেটা সেট বিশ্লেষণ করার জন্য।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: AI অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং ডেপ্লয় করার জন্য।

চ্যাটজিপিটি কী?

ক্লাউড কম্পিউটিং কীভাবে কাজ করে?

  • ডেটা সেন্টার: ক্লাউড প্রোভাইডাররা বিশ্বব্যাপী ডেটা সেন্টারে হাজার হাজার শক্তিশালী সার্ভার রাখে।
  • ইন্টারনেট: আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউডের সাথে সংযোগ স্থাপন করেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় রিসোর্স অ্যাক্সেস করেন।
  • অন-ডিমান্ড: আপনি যখন প্রয়োজন তখনই রিসোর্স ব্যবহার করতে পারেন এবং যখন প্রয়োজন হবে না তখন বন্ধ করতে পারেন।
  • পেমেন্ট: আপনি ব্যবহৃত রিসোর্সের জন্য কেবলমাত্র অর্থ প্রদান করেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর ধরণ:

  • পাবলিক ক্লাউড: ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকলের জন্য উন্মুক্ত।
  • প্রাইভেট ক্লাউড: একটি নির্দিষ্ট সংস্থার জন্য নিবেদিত।
  • হাইব্রিড ক্লাউড: পাবলিক এবং প্রাইভেট ক্লাউডের সংমি

ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে আরও জানতে, আপনি এই ওয়েবসাইটগুলি দেখতে পারেন:

ক্লাউড কম্পিউটিং