কুমার পাড়ার গরু গাড়ি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অমর সৃষ্টি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “কুমার পাড়ার গরু গাড়ি” একটি জনপ্রিয় কবিতা। এই কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রামীণ জীবনের এক চিত্র তুলে ধরেছেন।
কবিতাটিতে একটি গরু গাড়ির কথা বলা হয়েছে। এই গরু গাড়িটি কুমার পাড়া থেকে বেরিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। গরু গাড়িটির মাথায় একটি ঘণ্টা ঝুলছে। ঘণ্টা বাজে টানটান।
গরু গাড়ির মাঝখানে একজন কুমারের ছেলে বসে আছে। তার হাতে একটি বেলুন। সে বেলুনটা ফুটিয়ে উড়িয়ে দেয়।
গরু গাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে আছে একটি ছোট্ট মেয়ে। তার হাতে একটি পুতুল। সে পুতুলটাকে চুমু খায়।
গরু গাড়ি চলেছে চলেছে, গ্রাম থেকে গ্রামে। গরু গাড়ির পিছনে ছুটে চলেছে গ্রামের সব ছেলেমেয়ে।
গরু গাড়ি চলেছে চলেছে, অস্তগামী সূর্যের দিকে। গরু গাড়ির পিছনে ছুটে চলেছে গ্রামের সব স্বপ্ন।
এই কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রামীণ জীবনের সরলতা ও সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন। তিনি গ্রামীণ মানুষের জীবনে আনন্দ ও স্বপ্নের কথা বলেছেন।
কবিতাটিতে গরু গাড়িটিকে একটি প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। গরু গাড়িটি গ্রামীণ জীবনের চলমানতা ও গতিশীলতাকে প্রকাশ করে। এটি গ্রামীণ মানুষের জীবনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকেও তুলে ধরে।
“কুমার পাড়ার গরু গাড়ি” একটি চিরন্তন সৃষ্টি। এই কবিতাটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পড়ে আসছে।
হাট কবিতা | কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি কবিতা
হাট কবিতা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কুমোর পাড়া গরুর গাড়ি
বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি
গাড়ি চালায় বংশীবদন,
সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন।
হাট বসেছে শুক্রবারে
বক্সীগঞ্জে পদমপারে,
জিনিসপত্র জুটিয়ে এনে
গ্রামের মানুষ বেঁচে কেনে।
উচ্ছে বেগুন পটল মূলো,
বেতের বোনা ধামা কুলো
সর্ষে ছোলা ময়দা আটা
শীতের রেপার নকশাকাটা
ঝাঁঝরিকড়া বেড়ি হাতা,
শহর থেকে সস্তা ছাতা ।
কলসী ভরা এখো গুড়ে
মাছি যত বেড়ায় উড়ে
খড়ের আটি নৌকা বেয়ে
আনলো ঘাটে চাষীর মেয়ে,
অন্ধ কানাই পথের পরে
গান শুনিয়ে ভিক্ষে করে !
পাড়ার ছেলে স্নানের ঘাটে
জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটে.
আরও পড়ুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাট কবিতার প্রশ্ন উত্তর
Hat Kobita – Kumor Para Gorur Gari Lyrics In Bengali| কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি lyrics
Kumor para gorur gari
Bojhai kora kolshi hari,
Gari chalay bongshi badan
Songe je jay vange madan,
Hat boseche shukrobare
Bokshi gonge podda pare,
Jinishpotro jutiye ene,
Gramer manush beche kene
Icche begun potol mulo
Beter bona dhama kulo
Sorshe chola moyda ata
Siter repar noksha kata
Jhajhri kora beri hata
Shohor theke sosta chata
Kolshi Bhora ekho gure
Machi joto beray ure
Khorer aati nouka beye
Anlo ghate chashir meye,
Andho kanai pother pore
Gan shuniye vikkhe kore,
Parar chele snaner ghate
Jol chitiye satar Kate
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি এবং সাহিত্যিকদের মধ্যে একজন। তিনি ছিলেন একজন বহুমুখী প্রতিভা, যিনি কবিতা, গান, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, চিত্রকলা, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে রচনা করেছেন। তাঁর রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায় প্রকৃতি, প্রেম, সমাজ, ধর্ম, দর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। তাঁর কবিতাগুলির ভাষা সরল, সুন্দর এবং সুরময়। তাঁর কবিতায় তিনি বাংলা ভাষার বৈচিত্র্যময়তা এবং শৈল্পিকতাকে তুলে ধরেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু বিখ্যাত কবিতা হল:
- “আমার সোনার বাংলা”
- “ওগো নিখিল জগতের প্রাণ”
- “সোনার তরী”
- “আমার সোনার কন্যা”
- “আমার সঙ্গী”
- “নদীর কথা”
- “ভালবাসার গান”
- “আমার সোনার বাংলা”
- “আমার সঙ্গী”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাবলী বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। তাঁর কবিতাগুলি আজও পাঠকদের মনকে আলোড়িত করে।
এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত কবিতা “আমার সোনার বাংলা” তুলে ধরা হল:
আমার সোনার বাংলা আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।
সেই সবুজ শ্যামল মাঠ, সেই নীল আকাশ, সেই ঝর্ণার ধারা, সেই নদীর বাঁকে, সেই সব কিছুতেই আমি তোমাকে দেখতে পাই।
সেই সবুজ শ্যামল মাঠে, সেই নীল আকাশের নীচে, সেই ঝর্ণার ধারায়, সেই নদীর বাঁকে, আমি তোমার সাথে খেলা করি, আমি তোমার সাথে গাই, আমি তোমার সাথে হাসি।
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমাকে ভালোবাসি।